রাজশাহীতে স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে ১০ দিন আগে বিক্রি করা নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে শিশুটিকে গোদাগাড়ী থেকে উদ্ধার করে রাজপাড়া থানা পুলিশ। গত ১০ নভেম্বর বাচ্চাটিকে ২৪ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছিল বাবা রহিদুল ইসলাম (৪০)। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা রহিদুলসহ যার কাছে বাচ্চাটি বিক্রি করা হয়েছিল তাকেও আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বাচ্চাটি গত ১০ নভেম্বর জন্ম নেয়। নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার কেয়ার নার্সিং হোম নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কন্যা সন্তান প্রসব করেন জান্নাতুল খাতুন। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর জান্নাতুলকে জানানো হয় তার বাচ্চা মারা গেছে। কিন্তু শাহানুর নামক এক ব্যক্তির কাছে সন্তান বিক্রি করে দেন রহিদুল। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে জান্নাতুল রাজপাড়া থানায় বিষয়টি জানান। এরপর রহিদুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে গোদাগাড়ী থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে শিশুটি তার মায়ের কাছে আছে।
রহিদুল ইসলাম (৪০) পেশায় দিনমজুর। সে নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে নগরীর সিলিন্দা এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাদের ১০-১২ বছর বয়সী আরও একটি ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান আছে।
পুলিশ আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন অভাবের তাড়নায় তিনি বাচ্চা বিক্রি করেছেন।
অন্যদিকে বাচ্চাটি কিনে নেওয়া শাহানুর পুলিশকে জানান, তার বোনের কোনও সন্তান নেই। তাই বোনের জন্য তিনি বাচ্চাটি কেনেন। কিন্তু দত্তক নেওয়ার মতো করে কোনও কাগজপত্র করে না দেওয়ায় তিনি বাচ্চাটি নিজের কাছে রাখেননি। তার অন্য এক আত্মীয়কে বাচ্চাটি দিয়েছিলেন। ওই আত্মীয়ের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটে।
নগরীর রাজপাড়া থানার এসআই মাহাফুজুর রহমান বলেন, পুলিশ বাচ্চাটাকে উদ্ধারের পর তার মায়ের কাছে দিয়েছে। বাচ্চাটি সুস্থ আছে। তবে বাচ্চাটির বাবা একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছেন। যার কাছে বাচ্চাটি ছিল তাকেও থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানান তিনি।
