বদরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার মরা তিস্তায় ফেলা হচ্ছে বাজারের ময়লা আবর্জনা দূষিত হচ্ছে নদী ও আশপাশের পরিবেশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মরা তিস্তা মিলিত হয়েছে চিকলি নদীতে।মরা তিস্তার তীরেই ফেলা হচ্ছে বাজারের ময়লা,আবর্জনা।তাই মরা তিস্তার পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে চিকলি নদীও। যেখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সাহাপুর খেলার মাঠ, পূজামণ্ডপ ও মসজিদ। ১০০ গজ দূরে রয়েছে কথাকলি বিদ্যানিকেতন।
পলিথিন, ডাবের খোসা, মাছের আঁশ সহ বাজারের সবরকম ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় এই মাঠও মন্দিরের পাশে অবস্হিত ময়লার স্তূপে।মাঠে খেলাধূলা সহ খেলা দেখতে গেলেও নাক,মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়।
সাহাপুর মাঠে নিয়মিত খেলতে আসা আবু সাইদ বলেন, আগের মতো নিয়মিত খেলতে আসতে চাই না। কারণ ময়লা আবর্জনার যে দুর্গন্ধ এতে খেলাধূলা করে স্বস্তি পাই না।
ময়লার স্তুপ যেখানে ঠিক পাশেই রয়েছে সাহাপুর বারোয়ারী কালি মন্দির। যেখানে নিয়মিত পূজা পার্বণে যেতে হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে।দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পূজা করতে গিয়েও। এ বিষয়ে সাহাপুর বারোয়ারী কালি মন্দিরের সভাপতি শ্রী নিলকান্ত পাইকার বলেন, ময়লার স্তূপ থাকায় পূজা করতে গিয়ে অনেকে অস্বস্তিবোধ করেন তাই এর একটা বিকল্প সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
,
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই ময়লার স্তূপে মাঝে মাঝে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ফলে পলিথিন পুড়ে সৃষ্ট কালো ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এতে শ্বাসকষ্ট সহ দেখা দিতে পারে নানা রোগ। এ বিষয়ে বদরগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শাকির মুবাশ্বির বলেন,শীতকালে বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ কম হওয়ায় কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তিনি আরও বলেন, এসব ময়লা আবর্জনা ধুয়ে নদীতে যাওয়ায় আশপাশের মানুষের পেটের উদারময় হতে পারে,এবং বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ বেড়ে যেতে পারে।
মুঠোফোন ময়লা অপসারণের বিষয়ে পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, এসব ময়লা আবর্জনা দুই তিন দিনের মধ্যে সরানোর ব্যবস্থা করব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাইদ বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে পৌরসভার সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
