বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে এই মাসে দেশ পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। আর এ বিজয়ের নেপথ্যে রয়েছে শহীদদের আত্মত্যাগ। যাদের জীবনের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা হয়তো এ বছরও তাদের শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন না ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কারণ সদর উপজেলার ১৪৪নং নারগুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নারগুন উচ্চ বিদ্যালয় দুটিতে প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো নির্মাণ হয়নি শহীদ মিনার৷ তাই বিশেষ দিনগুলোতে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারছেন না শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
নারগুন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনিসা আক্তার বলেন, প্রায় সব স্কুলে শহীদ মিনার দেখি। আমাদের স্কুলে না থাকায় আমরা ফুল দিয়ে শহীদদের শুদ্ধা জানাতে পারছি না। আমরা চাই আমাদের সে সুযোগ দেওয়া হোক৷
বিদ্যালয়টির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মতিলাল রায় বলেন, এ বিদ্যালয়ে পাঁচ বছর পড়াশোনা করছি। শুরুর দিক থেকে শুনে আসছি হবে অথচ এখনো আমরা শহীদ মিনার পাইনি।
এ বিষয়ে ১৪৪ নং নারগুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান বলেন, শহীদ মিনার না থাকায় দিবসগুলোতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা যায় না। যদি শহীদ মিনার স্থাপন হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারতাম৷
নারগুন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহাবুব আলম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়৷ দুটি প্রতিষ্ঠানে ৬০০ এর অধিক শিক্ষার্থী। এখনো আমরা শহীদ মিনার পায়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে মিনার না থাকায় আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছি না৷ সামনে বিজয় দিবস৷ যাদের জন্য বিজয় পেলাম তাদের শ্রদ্ধা জানাতে না পারা আসলেই কষ্টের। আমরা কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। শুধু শুনে আসছি হবে। আমাদের দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে রয়েছে। একটি শহীদ মিনার দেওয়া হলেও আমরা আত্মতৃপ্তি পাব শহীদদের শুদ্ধা জানিয়ে৷
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের শামসুজ্জামান বলেন, আমি কয়েকবার গিয়েছি প্রতিষ্ঠান দুটোতে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা রাখছি।
