কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে সারা বিশ্ব জুড়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা ছড়িয়েছে। প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে স্ব স্ব দলের জার্সি ও সংশ্লিষ্ট দেশের পতাকার কদর বেড়েছে। গত ৩২ দিনে ৮ লাখ টাকার বিভিন্ন দেশের পতাকা বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান। আগামী সাত দিনের মধ্যে আরও ৫ লাখ টাকার পতাকা বিক্রি করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান হবিগঞ্জের আজমিরগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিভিন্ন উৎসব ও দিবসে পতাকা বিক্রি করাই তাঁর একমাত্র পেশা।
সরেজমিনে আজ শনিবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের রেলরোড মোড়ে গিয়ে জিয়াউর রহমানকে পাওয়া যায়। এ সময় তিনি বলেন, ‘পতাকা বিক্রিই আমার একমাত্র পেশা। বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে গত ৩২ দিন ধরে পতাকা বিক্রি করছি। আমার আরও তিনজন সহযোগী রয়েছে। এবার সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নরসিন্দি, ঢাকা, কুষ্টিয়া, যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় ৮ লাখ টাকার পতাকা বিক্রি করেছি। আমার কাছে এখনো ৫ লাখ টাকার পতাকা রয়েছে। বর্তমানে বাগেরহাটে আছি। আশা করছি, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই সেগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে। এবার যেমন বেচাকেনা ভালো হয়েছে, তেমনি লাভও হয়েছে।’
জিয়াউর রহমান আরও বলেন, ‘শুধু আমি নয়, বিশ্বকাপ উপলক্ষে এ রকম আরও অনেকে আছেন যারা পতাকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এর আগেও তিনবার বিশ্বকাপে আমি পতাকা বিক্রি করেছি। যত উৎসব, দিবস ও বিভিন্ন আয়োজন হয়েছে তার মধ্যে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি পতাকা বিক্রি হয়।’
পতাকার দামের বিষয়ে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা মূলত বাংলাদেশি পতাকাসহ বিশ্বকাপে যে ৩২টি দল অংশ নিচ্ছে সবার পতাকা বিক্রি করছি। এবার সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকা। এরপরেই রয়েছে জার্মান, স্পেন, ইতালিসহ বেশ কয়েকটি দেশ। কেউ কেউ সৌদি আরবের পতাকাও কিনেছেন। প্রতিটি পতাকা আকারভেদে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।’
পতাকা কেনার বিষয়ে ফুটবল ভক্ত নাইম শেখ বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার এলাকায় আর্জেন্টিনার র্যালি ছিল তখন পাঁচ টাকা দিয়ে আমি পতাকা কিনেছিলাম। বাসার পাশের ছাদে এক ভাই ১০টি পতাকা টানিয়েছেন। তাই আমি আজ আবারও পাঁচটা কিনলাম। বিশ্বকাপ তো আর প্রতিদিন আসে না। তাই একটু ইচ্ছে পূরণ করছি।’
