রংপুরের পীরগঞ্জে চলতি মৌসুমে ফুলকপির ভালো ফলন হয়েছে। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় ফুলকপি চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফুলকপি চাষ।
অনুকূল আবহাওয়া, সময়মত বীজ বপন ও সুষম সার ব্যবহারের উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে এবার কফির ফলন ভালো হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা। এলাকার উৎপাদিত কপি চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ অঞ্চলের চাষীরা তাদের উৎপাদিত কপি এখন বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজার দরও পাচ্ছেন ভালো।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে চলতি সবজি রবি ফসল মৌসুমে নানা প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও প্রয়া ৪ হাজার হেক্টর জমিতে রকমারী শীতকালীন সবজির আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫শ হেক্টর জমিতে ফুল ও বাধা কপির চাষে ঝুঁকছে চাষিরা।
উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা বলছেন, শীতকালীন সবজি ফুলকপি আবাদ করে ভালো লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে এ বছর নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও ফুলকপির চাষ ও ফলন ভালো হয়েছে।
সবজি বিক্রি বিষয়ে কথা হয় চাষিদের সাথে, কষ্ট করে কফি চাষ করলে বিক্রির বিষয় নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। দাম কম বেশি হলেও এ অঞ্চলে সবজি গাড়ি যোগে বড় নদীর ওপারে ঢাকায় যায়। কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পিচ হিসাবে কেনে। তবে সবমিলিয়ে কফি চাষে অনেক সুবিধা বলে তারা মনে করছেন।
কফি চাষি উপজেলা জামালপুর গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, আগাম জাতের ফুল কফির চাষে ব্যয়বহুল খরচ হয়েছে বিশেষ করে সার কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক হতাশ হয়ে পড়েছে। প্রতিবছরের চেয়ে এবছর খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ তার পরেও সবজি চাষের শুরুতেই ফলন ও বাজার ভালো হওয়ায় সবজি চাষে কিছুটা পুষিয়ে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, এ অঞ্চলের কফি চাষিরা অত্যান্ত শ্রমজীবী এবং ফসল চাষেও অলসতা নেই। যেকারণে তারা ফসলের চাষ করে সুফল পাচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন চাষিদের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিটি ফসল চাষের জন্য কৃষকদের সাথে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে চলেছে।
