নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা বানিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নাতনির পোষ্য কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই উপজেলার খামার গাগ্রাড়াম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সূর্যি আক্তারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগমের নির্দেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রহুল আমিন এবং সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবুলকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ মিয়া জানান, সূর্যি আক্তার নামে কোন নাতনি নেই। এ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করেও গেছে। এর বেশি আর কিছু আমি বলতে পারব না।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আজকালের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, সূর্যি আক্তারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখনো তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাইনি। রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবগত করা হবে।
উল্লেখ্য, লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগের সময় কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে ছিট রাজীব গ্রামের জাহেদুল ইসলামের মেয়ে সূর্যি আক্তার একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনকে ভুয়া নানা বানিয়ে কাগজপত্র তৈরি করে নিজেকে নাতনি হিসেবে পোষ্য কোটার সুযোগ সুবিধা নিয়ে চাকরি নেন। পরবর্তীতে কৌশলে পুলিশ ভেরিভিকেশনের রিপোর্ট এর কাজও সুসম্পন্ন করে। ভুয়া পোষ্য কোটায় অফিসকে ম্যানেজ করে প্রায় ৫ বছর দাপটের সঙ্গে চাকরিও করছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে সূর্যি আক্তারের মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্রঃইত্তেফাক
Leave a Reply