ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ছোট বালিয়া এম,বি, এস, সি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে চাকুরি দেয়ার নামে ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে ভুক্তভোগী মোর্শেদ চৌধুরী ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন,এম,বি, এস, সি উচ্চ বিদ্যালয়ে কেরানী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে আমার ছেলে সানজিদ আলভি সদ্দাম সেই পদের জন্য আবেদন করে। পরে আমি আমার ছেলের নিয়োগের ব্যপারে সেই বিদ্যালয়ের সভাপতি আশরাফুল হক চৌধূরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করে। পরে আমি তাকে ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ দেই। কিন্তু টাকা নেয়ার পড়েও আমার ছেলের চুকুরি হয়নি। ঘুষের টাকা ফেরৎ চাইলে তিনি বার বার আমাদের টাকা দিতে টাল বাহানা করে। গত ১ই জানুয়ারি শুক্রবার আমার ছেলে সানজিদ জুম্মার নামায শেষে টাকা ফেরৎ এর কাথা বললে উল্টো আমার ছেলেকে আশরাফুল হক চৌধূরী তাঁর ছেলে মহব্বত চৌধুরী ,ভাতিজা রাসেল চৌধুরী, সুমন চৌধূরীকে দিয়ে বেধরক মারপিট করে । এ বিষয়ে আমার স্ত্রী বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু থানা কতৃপক্ষ আমাদের মামলা রুজু না করে উল্টা বিবাদীদের করা মিথ্যা মামলা রুজু করে আমাদের হয়রানি করছে। আমি গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগীতা ও প্রশাননের সুদৃষ্টি কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
মামলার বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুর ইসলাম বলেন, আমরা মোর্শেদ চৌধুরীর স্ত্রীর কোন অভিযোগ পাইনি। শুধু মাত্র আশরাফুল হক চৌধুরীর অভিযোগ পেয়েছি।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি আশরাফুল হক চৌধুরী জানান ,আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট । আমি ৭ লক্ষ টাকা তো দুরের কথা ৭ পয়শা নেই নি। আমাদের পরিবারের মধ্যে জমি জায়গার বিরোধ চলছে এটি কালার দিচ্ছে অন্য দিকে ।
Leave a Reply