লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্য। আশরাফুল আলম ও তহিদুল ইসলাম নামে ওই দুই ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভা না করা সহ সুনিদিষ্ট ৮টি অভিযোগ উল্লেখ করে রোববার (০৪ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তবে চেয়ারম্যানের দাবি, তার কাছে ঝামেলা মনে হওয়ায় তিনি মাসিক সভা করেন না।‘আমার কাছে ঝামেলা মনে হওয়ায় আমি মাসিক সভা করি না। দুই-তিন জন সদস্য বিভিন্ন সময় আমার বিরুদ্ধে নানা যড়ষন্ত্র করেন। আমি সব সময় সবার সাথে কথা বলে সব কিছু করার চেষ্টা করি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়ে তা যড়ষন্ত্রের অংশ মাত্র ।’প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে সাথে নিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে টিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপি, নন- ওয়জে প্রকল্প গুলোতে নিজেই প্রকল্প চেয়ারম্যান হয়ে নাম মাত্র কাজ করে ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে সরকারী টাকা আত্মসাত করেন। নানা অযুহাতে বসত বাড়ির কর আদায় করলে তা উন্নয়ন মুলক কাজে ব্যয় না করে ইউ-পি সচিবসহ ভাগাভাগি করে আত্মসাত করেন চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ । ভিজিডি, ভিজিএফ, রয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, শিশু ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগীদের তালিকা তৈরিতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সাথে সম্বয়ন না করে নিজের মত তালিকা তৈরী করে উপজেলা প্রশাসনের নিকট জমা দিয়ে আসছেন। প্রতিমাসে মাসিক সভা করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সাথে সমন্বয়ন করে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করার নিয়ম থাকলেও তিনি কখনোই মাসিক সভা করেন না।
কৃষি বিভাগ থেকে বীজ- সার বিতরণ ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নলকুপ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। যার সাথে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ নিজেই জড়িত। বিভিন্ন সময় এসব বিষয়ে তথ্যের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা সচিবের কাছে গেলে সচিবও তথ্য দিতে টালবাহানা করেন।অভিযোগকারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আশরাফুল আলম ও তহিদুল ইসলাম জানান, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবের অনিয়ন ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে নানা সময় আমাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়। আমরা অনেকটা বাধ্য হয়ে আমাদের অধিকার পেতে ও দুর্নীতি বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি।ডাউয়ারাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ বলেন, আমার কাছে ঝামেলা মনে হওয়ায় আমি মাসিক সভা করি না। দুই-তিন জন সদস্য বিভিন্ন সময় আমার বিরুদ্ধে নানা যড়ষন্ত্র করেন। আমি সব সময় সবার সাথে কথা বলে সব কিছু করার চেষ্টা করি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়ে তা যড়ষন্ত্রের অংশ মাত্র।হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, অভিযোগে বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
সূএ :আমাদের প্রতিদিন রংপুর
I would like to thnkx for the efforts you’ve put in writing this site. I am hoping the same high-grade blog post from you in the upcoming as well. In fact your creative writing skills has encouraged me to get my own website now. Actually the blogging is spreading its wings rapidly. Your write up is a good example of it.