গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের মধ্যে গাইবান্ধা সদরে চারজন, ফুলছড়িতে দুইজন, পলাশবাড়ীতে তিনজন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একজন।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, ফুলছড়িতে নিহত দুইজেনের মধ্যে একজন ঝড়ের সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।তাই সরকারিভাবে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা ৯ জন হিসাব করা হয়েছে।তারা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের ঢনঢনিপাড়া গ্রামের মিঠু মিয়ার স্ত্রী সাহারা বেগম (৪১), হরিণসিংগা গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে মুনির (৫), আরিফ খান বাসুদেবপুর গ্রামের রিজু মিয়ার স্ত্রী আর্জিনা বেগম (২৮), রিফাইতপুর গ্রামের খগেন্দ্র চন্দ্রের স্ত্রী জোৎস্না রানী (৫৫), পলাশবাড়ী উপজেলার ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে গোফ্ফার (৪২), মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের মমতা বেগম (৫৫), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত হলদিয়া গ্রামের সোলেমান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৪০), ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের বিটুল মিয়ার স্ত্রী শিমুলী বেগম (২৫), ফুলছড়ি উপজেলার রেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতিয়ার চর গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে হাফিজ উদ্দিন (৬০)।
তাদের মধ্যে হাফিজ উদ্দিন ঝড়ের সময় বাতাসে ইজিবাইজ উল্টে নিহত হন।এর আগে রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে গাইবান্ধা সদরসহ সাত উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় ঘণ্টাব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়।এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি, দোকানপাটসহ সরকারি স্থাপনা। নষ্ট হয়েছে আমের মুকুল ও আমন ধানের গাছসহ বিভিন্ন ফসল। সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন জানান, প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।
সূএ :বাংলা ট্রিবিউন
Good site! I really love how it is easy on my eyes and the data are well written. I’m wondering how I could be notified when a new post has been made. I’ve subscribed to your RSS which must do the trick! Have a nice day!