লালমনিরহাটে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে চলছে পৌরসভার ভোটগ্রহন।একটি ভোট কেন্দ্রের ইভিএমের চিফ খুলে নিয়ে গিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুধু তাই নয় অপর একটি কেন্দ্রে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহন শুরুর পরপরেই কয়েকটি কেন্দ্র ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের সাথে আঃলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের সাপটনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সৈয়দ সুফি তাহেরুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিককে মারধর করেন দুর্বৃত্তরা। কিছুক্ষণ পর সকাল ১০ টার দিকে বত্রিশ হাজারী বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি কক্ষে ইভিএম মেশিন ভাংচুর করে চিপসেট নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ওইসময় আব্দুল জলিল ওরফে মেজর নামের এক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে গুরতর আহত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে রেলওয়ে চিলড্রেন স্কুলে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগে এনে আশরাফুল নামের একজন ভোটার বলেন, কেন্দ্রের ভিতরে জোর পূর্বক একজন তার ভোটটি একটি বিশেষ প্রতীকে দিয়ে দিয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন অভিযোগ করে বলেন, সরকারী দলের প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের লোকজন জোর করে ভোট দিচ্ছেন। আমার প্রতীকের লোকজনকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সবকটি কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী লালমনিরহাট পৌরসভায় মোট-৪৭,৭৬৯ হাজার এবং পাটগ্রাম পৌরসভায় ২১,৮৫৪ জন ভোটার রয়েছেন।দুটো পৌরসভায় মোট ২৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, জেলার দুটি পৌরসভায় সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রয়েছে স্বাভাভিক ।ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার শান্তিপূর্নভাবে প্রয়োগ করছে।
Leave a Reply