রংপুরে ফরমের জন্য ১০০ টাকা ও লাইসেন্স করে দেওয়ার জন্য ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার ঘটনায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক তপন রায়কে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রংপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান। দুদকের গণশুনানিতে কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দিন আহাম্মেদকে সাময়িক বরখাস্তের এই আদেশ দিয়েছেন।

দুদক অফিস সূত্রে জানা যায়, রংপুর টাউন হলে ২৮ মার্চ দুদক আয়োজিত গণশুনানিতে মিঠাপুকুর উপজেলার মোস্তাফিজার রহমান নামের এক ব্যক্তি তপনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি করাসহ বিনা মূল্যের ফরমের বিপরীতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, মোস্তাফিজার তার নিজের প্রতিষ্ঠান মানহা ট্রেডিং কারখানার ‘লে আউট প্ল্যান’ অনুমোদন সংক্রান্ত সেবা নিতে ২৭ মার্চ তপনের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে লাইসেন্সের আবেদনের ফরম চাইলে ১০০ টাকার বিনিময়ে তাকে বিনা মূল্যের ফরম দেন। একই প্ল্যান অনুমোদনের জন্য তার কাছে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন তপন।

দুদকের কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হকের উপস্থিতিতে গণশুনানিতে তপন ১০০ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় দুদক কমিশনার জহুরুল হক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিনামূল্যের ফরমের বিপরীতে নেওয়া টাকা ফেরত প্রদানসহ সেবা গ্রহীতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য তপন রায়কে নির্দেন দেন। একই সঙ্গে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবির ঘটনায় বদলি না করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। দুদক কমিশনার শ্রম অধিদফতরকে তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেন। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
পরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ রংপুরের শ্রম পরিদর্শক তপন রায়কে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ (স্মারক নম্বর-১২২) দেন। এ ছাড়া আদেশে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর কথাও বলা হয়।
