ভারত থেকে অতিরিক্ত পেঁয়াজ আমদানির ফলে বিক্রি না হওয়ায় সেগুলোতে পচন ধরছে। ফলে বাধ্য হয়ে পচা পেঁয়াজগুলো ফেলে দিতে হচ্ছে। এতে করে লোকসানের মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থল বন্দরের আমদানি রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, হিলির প্রতিটি গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। দাম কমার কারণে বেচা-বিক্রি নেই।

তিনি বলেন, ভারত থেকে কেজি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬-২৭ টাকা কেনা পড়লেও সেটি বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৭ টাকা। কিছু পেঁয়াজ ফেলে দিতে হচ্ছে। এতে করে আমদানি কারকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, হিলি স্থলবন্দরে ৪০টির বেশি পেঁয়াজের আড়ৎ রয়েছে। প্রতিটি আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। অনেক আড়তে থরে থরে সাজানো বস্তায় পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। আবার কোনো আড়তে নারী কর্মীদিয়ে ভালো পেঁয়াজ আলাদা করছেন। আড়তে ভালো পেঁয়াজ ১৬ টাকা আর তুলনামূলক খারাপ পেঁয়াজ ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভালো পেঁয়াজ ১৮-২০ টাকা আর তুলনামূলক খারাপ পেঁয়াজ ১৪- ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে।
চার মাথা মোড়ের ভ্যানচালক আমেদ আলী বলেন, কয়েক দিন আগে হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি ছিল। তখন প্রকার ভেদে ২০-২৫ টাকা কেজি ছিল। এখন দাম কমে ১৫ টাকায় এসেছে। আবার কিছু ১০ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে।
খুচরা বাজারের পেঁয়াজ কিনতে আসা সোহেল হোসেন বলেন, এখন বাজারের খুচরা দামের চেয়ে আড়তেই দাম অনেকটা কম। দুই কেজি পেঁয়াজ নিয়েছি, বেশ কিছু খারাপ পেঁয়াজ এমনিতেই দিয়েছে। এগুলো নিয়ে গিয়ে বেছে পরিষ্কার করে ভালোগুলো বের করে নিজেরা খাবো।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবু বলেন, ২৯ মার্চের পর হিলি বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে এমন খবরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। অনেক পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় বন্দর থেকে খালাস করে নিজস্ব গুদামে নামিয়ে রাখতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ভালো পেঁয়াজগুলো ১৩-১৫ টাকায় বিক্রি করছি। খারাপগুলো কেজি বা বস্তা দরে বিক্রি করছি। আবার অনেক পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেগুলো ফেলে দিতে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মার্চ মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে বন্দরে ৩০-৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। শেষদিন ৬৩ ট্রাকে এক হাজার ৬৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।
