সিলেটের সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার (২৮ মে) সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অর্ধশতাধিক পরিবারকে ত্রাণ দেয় তারা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল কাশেম অভি জানান,আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের থেকে গণ ফান্ড করে সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের পাশে আছি। গতকাল আমরা ৫০টি পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছি। আজকেও আমরা ৩০ টি পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী দিব।। আমরা প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজের চোখে পর্যবেক্ষণ করে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করি। ত্রাণ সামগ্রীতে ছিল তাল, ডাল, তেল, আলু, পেয়াজ, লবণ, খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল ইত্যাদি।
আমরা ফান্ড গঠনের কাজে আমার সাথে ছিলো, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বদিউল, রাশেদুল ইসলাম ও তুষার। মূলত আমাদের এই তিন বন্ধুর মাথায়ই প্রথম এই প্লান আসে।আমরা প্রথমে সিলেট এর কথা মাথায় এনেই ফান্ড গঠন করি। এছাড়াও আমাদের সাথে ছিলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বাপ্পি আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ইমামুল ইসলাম ও সোহান আহমেদ এবং ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃআলামিন।
তিনি আরও বলেন, আমি একটি কথাই বলতে চাই, আমরা যেসব এলাকায় পর্যবেক্ষণ করলাম সেখানে আরও অনেক পরিবার ত্রাণ পাওয়ার মতো আছে, কিন্তু আমাদের ফান্ড কম থাকায় দিতে পারিনি। তাই দেশের অন্যান্য ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসলে তাহিরপুর এর মানুষগুলার মুখে একটু হলেও হাসি ফুটবে। আর ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় এটার একটি জলন্ত উদাহরণ পেলাম আমি যখন আমার একই বিভাগের বন্ধু বদিউল ও তুষারকে বললাম তারা অতি সুন্দরভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। আর আমরা লেগে যাই কাজে। এই ৪/৫ দিন ফান্ড কালেকশন থেকে শুরু করে ত্রান দেয়া নিয়ে আমরা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া, ঘুমাতে পারিনি।
পরিশেষে এতো পরিশ্রম করেও বিন্দুমাত্র কষ্ট লাগছে না। কারন অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পেরে অনেক ভালো লাগা কাজ করছে।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ইমামুল ইসলাম বলেন,আমরা সিলেট এর বন্যা উন্নতির দিকে দেখি সিলেট এসে। ফলে আমরা স্থানীয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু শোয়াইব মোল্লার পরামর্শক্রমে সুনামগঞ্জ এর তাহিরপুর বন্যার্তদের পাশে যাই। সেখানে গিয়ে তাদের করুণ অবস্থাগুলো দেখে আমাদের সকল ভলেন্টিয়ারদের চোখে পানি চলে আসে।
আমাদের সামর্থ্য থাকলে আমরা পুরো তাহিরপুর উপজেলায় ত্রান দিয়ে আসতাম। কিন্তু আমাদের ফান্ড অনুযায়ীই আমরা বাছাই করে দুস্থ পরিবারগুলাকে দিচ্ছি। তারা ত্রাণ পেয়ে অনেক খুশি, এটাই আমাদের বড় পাওয়া।
