সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৯ মার্চ) এক শোকবার্তায় সাহাবুদ্দীন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

আরেক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী সাহাবুদ্দীন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তার মৃত্যুর বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান খুদে বার্তার মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে দিকে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিএমএইচের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সপ্তাহখানেক আগে সাহাবুদ্দীন আহমেদকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি ছিলেন তিনি।
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ। তিনি ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি এবং দুবার দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৯০ সালের ১৪ জানুয়ারি সাহাবুদ্দীন আহমদকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ পদত্যাগ করেন এবং বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে উপরাষ্ট্রপতি নিয়োগ করা হয়। ওইদিনই রাষ্ট্রপতি এরশাদ পদত্যাগ করে উপরাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ফলে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার নেতৃত্বে দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়, যা দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা পায়।
