আফগানিস্তানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। আর আহত হয়েছেন এক হাজার ৫০০ মানুষ। দেশটির সংস্কৃতি ও তথ্য বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছে তালেবান সরকার।

বুধবার (২২ জুন) ভোরে আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘরবাড়ির মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আর মাটিতে শুইয়ে রাখা মরদেহ সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আইয়ুবি বলেছেন, আহতদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এবং চিকিৎসা সরবরাহ ও খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ধার প্রচেষ্টায় হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশ। যা খোস্ত শহরের ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত।

স্থানীয় একজন চিকিৎসক বিবিসিকে জানান, বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে প্রদেশটির গায়ান ও বারমাল জেলায়। স্থানীয় মিডিয়া সাইট ইতিলাত-ই রোজ জানিয়েছে, গায়ানের একটি গ্রাম ভূমিকম্পে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
ভূমিকম্পটি আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারতের ৫০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুভূত হয় বলে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিকাল সেন্টারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও ভূমিকম্প অনভূত হয়েছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র বিলাল করিমি এক টুইট বার্তায় লেখেন, দুর্ভাগ্যবশত, গতরাতে পাকতিকা প্রদেশের ৪টি জেলায় একটি প্রবল ভূমিকম্প হয়েছে, যার ফলে আমাদের শতাধিক দেশবাসী নিহত ও আহত হয়েছে এবং বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। আমরা আরও বিপর্যয় এড়াতে অবিলম্বে এসব এলাকায় দল পাঠানোর জন্য সব সাহায্য সংস্থাকে অনুরোধ করছি।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি
