রংপরে ভোজ্যতেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেগুন ও মাংসের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম দ্বিগুন হারে বেড়েছে। গরু ও খাসির মাংসের দামও বেড়েছে। কমেছে পেঁয়াজসহ মরিচের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ২২-২৪ টাকায়। যা গত দুই সাপ্তাহে প্রতি কেজি ৩২-৩৫ টাকা পাইকারী বিক্রয় করা হত। তেলের সঙ্গে দাম বেড়েছে দেশি মুরগি ও চালের। সবজির দাম অপরিবর্তিত।
রংপুর পৌরবাজার গরু মাংস ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন জানান, সবুজ ঘাস ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরু-খাসির মাংসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। গরু ৬৫০ ও খাসির মাংস ৭৮০-৮২০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। তবে দেশি মুরগির ওপর চাপ অনেক পড়েছে। গত দুই সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।

রংপুর জেলা ও নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত পাঁচ লিটার তেল আগের মতোই ৭৫০ থেকে ৭৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন জানান, তিন সাপ্তাহ আগে পাঁচ ও দুই লিটার সয়াবিন তেল খুবই কম পাওয়া যেত। এখন তা মিলছে সহজে। তবে ভোজ্যতেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেগুনের দাম। এদিকে চালের দামও কেজিতে ২-৩ টাকা করে বেড়েছে।

মুরগী ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, গত দুই সপ্তাহের তুলনায় দেশি মুরগি ৫১০-৫৩০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। গরুর মাংস ৬০০ বেড়ে ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৮০-৮২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
রংপুর জেলা ও নগরীর বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত। খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি করলা ৪৫-৫০টাকা, -৫০ টাকা কেজি, পেঁপে ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০টাকা, শুকনো মরিচ ৩৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ধনিয়া-৩৫ টাকা, চিকন বেগুন ৮০ টাকা, গোল ও বড় বেগুন ১০০টাকা, সিম-৪০ টাকা, টমেটোর দাম ৩২-৩৫ টাকা, গাজর-৫০টাকা, মটরশুঁটি ৬৫ টাকা, শসা সজনে ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি আলু ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ২০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। কাঁচকলা হালি ৩০ টাকা ও লেবু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সব ধরনের মাছের দাম প্রায়ই অপরিবর্তিত মাছ। বাজারে খোলা চিনি ৮০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা, মসুর ডাল মাঝারি ১০৫ টাকা ও চিকন ডাল ১১০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৪৫ টাকা ও খোলা আটা ৩৫ টাকা এবং ময়দা ৫০-৫৫ টাকা প্যাকেট বিক্রি করা হচ্ছে।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বেড়েছে। এ সপ্তাহে স্বর্ণা চাল মোটা ৪৮-৫০টাকা, মিনিকেট ৭২-৭৩ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে দেশি পেঁয়াজ দাম কমে ২৪ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আদা ৮০টাকা ও রসুন ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি খুচরা বাজারে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ১৫ টাকা। শিল আলু আগের মতো ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
