আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুমাস বর্ষাকাল। বছরের প্রায় ৮০ শতাংশ বৃষ্টিই হয় এ ঋতুতে। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তন আর প্রকৃতির বিরূপ আচরণই জানিয়ে দিচ্ছে ঋতুচক্র বর্ষপুঞ্জিতে আটকা পড়েছে। এখন ভরা বর্ষায় কড়া রোদে লাপাত্তা ঝড়-বৃষ্টি। দিনে দিনে এ তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে রংপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা-নামা করছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে বর্ষাঋতুর সর্বগ্রাসী বিরূপ আচরণে রংপুরে বেড়ে চলেছে হিট স্ট্রোক, জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা তাপপ্রবাহে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে নিম্নআয়ের মানুষরা পড়েছেন। সংসার চালাতে বাধ্য হয়েই কাজে যাচ্ছেন তারা। অনেকেই আবার গরম সইতে না পেরে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।
নগরীর স্টেশন রোড দাবানল মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক আশরাফ আলীর সঙ্গে। মাথার ওপর ছাতা থাকার পরও গরমের চোটে হাঁপিয়ে ওঠা এই রিকশাচালক বলেন, গরমে বাড়ির বাইরোত ব্যারে মনে হওছে জানটা চলি যাইবে। এতো ক্যানে গরম বাহে? ঘরে থাকাও দায়। ফ্যানের বাতাসও গরম। শরীর থাকি খালি ঘাম ঝরোছে। রোইদোত বাইরোত গাড়ি নিয়্যা ব্যারেয়া মোর অবস্থা তো খারাপ। কিন্তু হামার মতো রিকশা এ্যলার কোনো উপায় নাই। গাড়ি না চালাইলে খামো কি?

রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহাম্মেদ বলেন, ‘অস্বাভাবিক এ আবহাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।’
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রংপুর অঞ্চলে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’
