নীলফামারীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার কারণে এ অঞ্চলের আকাশ পথে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে পারেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরটির স্টেশন ম্যানেজার সুপল্লব ঘোষ।
তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের বিমান চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি। দৃষ্টি সীমানা পরিমাপ করছি। শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে থাকে। আসা করি কিছুক্ষণের মধ্যে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টায় বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৫০ মিটার। সকাল ৮টায় ৭০ মিটার। সকাল ৯টায় ৬০০ মিটার। যা দুপুর সাড়ে ১২টায় বেড়ে হয়েছে ১৫০০ মিটার পর্যন্ত। সাধারণত ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে রানওয়েতে বিমান ওঠানামা করতে পারে। তাই কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। শুধু তাই নয় গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সকাল থেকে ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের দুটি ও বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেনি। সূচী অনুযায়ী সকাল ৭টা ৩০ মিনিট ও সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ইউএস-বাংলার দুটি, সকাল ৮টা ও সকাল ১০টা ১০ মিনিটে নভোএয়ােরের দুটি এবং সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কথা ছিল।
এছাড়াও সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে সকাল ৯টা ও দুপুর ১২টায় ইউএস-বাংলার দুটি, সকাল ৯টা ৩০ মিনিট ও সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে নভোএয়ারের দুটি এবং সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের কথা ছিল। এর ফলে ওই পাঁচটি ফ্লাইটের ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন।
