বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অভিমুখে শেখ হাসিনা বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার বিচক্ষণ, সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়নে অগ্রসরমান সোনার বাংলাই থাকবে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত ইউনিট কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনিট সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চার প্রমাণ দিয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার কারণেই সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মীর উপস্থিতি দেখে আমরা আশাবাদী। নেত্রীকেও বলবো, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে আপনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জেগে আছে। আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারবো। আওয়ামী লীগই বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে। অপপ্রচার, চরিত্রহনন করে লাভ নেই। দেশে বিদেশে প্রোপাগান্ডা করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলাদেশের যত গভীরে, সেটা উপড়ে ফেলা যাবে না।

পদ্মা সেতু-মেট্রোরেলসহ উন্নয়নের বিরোধিতা করে লাভ হবে না জানিয়ে কাদের বলেন, অপপ্রচার করে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা বন্ধ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছেন। উন্নয়নের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে গিয়ে তারা বলছে, বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত ভীতের ওপর দাঁড় করিয়েছেন। কেউ না বুঝে করছেন, আবার কেউ শেখ হাসিনার বিরোধিতার জন্য এসব অপপ্রচারে নেমেছেন। লাভ হবে না।
অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা কিভাবে করতে হয় আওয়ামী লীগ জানে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ৮০২টি ইউনিট সম্মেলন সম্পন্ন করা নেতাকর্মীদের দৃঢ়তা, একাগ্রতার সাহসের সোনালি ফসল। এসময় ইউনিট পর্যায়ে সম্মেলন করে স্বপ্নকে সত্যিতে পরিণত করায় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিনন্দন জানান।
এ সময় কাদের বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হয়নি, হবেও না। বাংলাদেশের অর্থনীতি ভারসাম্যমূলক অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। সব সূচকে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক অবস্থা ধরে রেখেছে। যেখানে শ্রীলঙ্কার সবগুলো সূচকে চরম অবনতি হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
