নেত্রকোনায় মহা ধুমধামে হেলিকপ্টারে করে বর এলেন। কিন্তু বিয়েটা আর করা হয়নি। কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মেয়ের মায়ের কাছ থেকে নেওয়া হয় মুচলেকা।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পূর্বধলায় হঠাৎ আসে হেলিকপ্টার। উৎসুক জনতার দৃষ্টি আকাশে। এতে নববধূকে নিতে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের মো. শাহজালাল। তবে বিধি বাম। হেলিকপ্টারে বর এলেও হয়নি বিয়ে।

ঘটনাটি নেত্রকোনার পূর্বধলার কান্দাপাড়া গ্রামে। ইতালিপ্রবাসী জামাই মো. শাহ্জালালকে বরণে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় রাখা হয় রাজকীয় আয়োজন। বিয়ে স্মরণীয় করতে হেলিকপ্টারে তিন আত্মীয়সহ আসেন বর। অন্যরা আসেন সড়কপথে। তবে হয়নি বিয়ে। বউ ছাড়াই শূন্যহাতে বাসরঘরে ফিরতে হয় বরকে। উভয় পরিবারের সব আয়োজন বৃথা হলো।
বর মো. শাহজালাল বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক। আমার কাছে সব ডকুমেন্ট আছে।’

সব আয়োজন ঠিক থাকলেও কন্যার বয়স কম। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। শেখ জাহিদ হাসান বলেন, ‘কনের মা সুমি আক্তারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তার মেয়ে ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। পরে ইউএনও যাচাই করে দেখতে পান, মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি। এরপর বাল্য বিয়ের অপরাধে বর ও মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে পণ্ড করে দেন।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিয়ের আয়োজন করবে–এ শর্তে মেয়ের মায়ের কাছ থেকে নেওয়া হয় মুচলেকা।
