অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে গাইবান্ধায় অসংখ্য নারী উদ্যোক্তা কাজ শুরু করেছেন। বিপণী কেন্দ্রে তৈরি পোষাক, প্রসাধনীসহ পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। জেলা ছাড়িয়ে অন্য জেলার পাশাপাশি বিদেশেও যাচ্ছে গাইবান্ধার নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি নানান পন্য।
গাইবান্ধা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নার্গিস জাহান বলেন, সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

গাইবান্ধায় প্রায় হাজার খানেক নারী উদ্যোক্তা প্রাতিষ্ঠানিক ও অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন।
পাঁচ বছর আগেই এই দৃশ্য খুবই কম চোখে পড়তো। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ভেঙে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। নিজেদের পছন্দমতো পেশা বেছে নিতে পারছেন তারা ।

ব্যবসার প্রসারে অনলাইনেও চলছে কেনা-বেচা। গাইবান্ধা জেলা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমনকি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য। তবে কাঁচামাল দ্রুত পাওয়া ও ঋণ সহায়তার দাবি জানিয়েছেন নারীরা ।
নারী উদ্যোক্তারা জানান, প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করলেও আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে ব্যবসা। তারা বলেন, নানা প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তারা আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
করোনার সময় বেশি সংখ্যক নারী যুক্ত হয়েছেন উদ্যোক্তোদের সহযোগী হিসেবে। এতে অর্থ কষ্ট কমেছে অনেকটাই।
উদ্যোক্তাদের সহযোগিরা জানান, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সরকারকে আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
