পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় খাস জমিতে ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আপত্তিতে তা স্থগিত হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মান্দুলপাড়া এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা আঞ্চলিক সড়কের পাশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ডাবলু।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী মন্ডল ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন। তবে উদ্বোধনের এক ঘণ্টার পরই বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর নির্মাণে আপত্তি জানায় এবং পরে নির্মাণ কাজ স্থগিত করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে ৪৫০ জন ভূমিহীন পরিবারে জন্য ঘর নির্মাণের উদ্যােগ নেওয়া হয়। এই ঘর নির্মাণের তালিকায় রয়েছে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ৩৫ জন ভূমিহীনের নাম। এই ৩৫ জনের মধ্যে ছয়টি পরিবারের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া হয় ওই ইউনিয়নের ডাহুক নদী সংলগ্ন মান্দুলপাড়া এলাকার খাস জমিতে। সেই ঘরের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে।

এদিকে সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের জমি রয়েছে বলে দাবি করে বিজিবি। সকাল থেকে বিজিবির সদস্যরা সেখানে অবস্থান নিয়ে কাজের আপত্তি জানায়। এক পর্যায়ে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সালেহ আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মাণকাজ স্থগিত রাখতে বলেন।
বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন বলেন, মান্দুলপাড়া এলাকায় ভূমিহীন ৬টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করা হয়। এর আগেও সেখানে ৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ঘর নির্মাণে বিজিবি কেন আপত্তি জানাচ্ছে তা আমাদের মাথায় আসে না। কারণ আমরা খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করছি।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা খাস জমিতে ভূমিহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ কাজ শুরু করেছিলাম। অন্য কোথাও খাস জমি না পাওয়ায় ওই স্থানটি বেছে নিতে আমরা বাধ্য হয়েছি। আমরা ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে সরকারি কোনো সংস্থার বাধা প্রত্যাশা করিনি। বিজিবির আপত্তির কারণে ওই এলাকায় আপাতত গৃহ নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিজিবির সহযোগিতা কামনা করছি। আশা করছি সব জটিলতা কাটিয়ে শিগগির আমরা আবার কাজ শুরু করতে পারব।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সালেহ আহমেদ জানান, বিষয়টি আমাদের অফিসিয়াল। তাই আমি এ বিষয়ে এখন মন্তব্য করতে পারছি না।
