নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বসুনিয়া হাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিনগুণ বেশি টোল আদায় করার অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত টোল আদায় করায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে মাঝে মধ্যেই বাগবিতন্ডা হচ্ছে ইজারাদারের আদায়কারীদের।
টোল আদায়কারী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘যে গরু কিনছে তার কাছে থেকে ৫০০ টাকা, আর যে বিক্রি করছে তার কাছ থেকে ১০০ টাকা নিচ্ছি। মোট ৬০০ টাকা টোল আদায় করছি।’

সরকার নির্ধারিত টোল ফি কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা ইজারাদার জানেন। আমাকে যা টোল আদায় করতে বলা হয়েছে, আমি তাই আদায় করছি।’
গরু ব্যবসায়ী শাহিন ইসলাম বলেন, ‘হাটে তিন গুণ টোল আদায় করা হচ্ছে। একটি গরু কেনাবেচায় সরকার নির্ধারিত টোল ২২০ টাকা। আর আদায় করা হচ্ছে ৬০০ টাকা। এত বেশি টাকা যদি টোল দিতেই যায়, তাইলে ব্যবসা চলবে কীভাবে?’

ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদে আদায়কৃত টোলের মূল্য লেখা হচ্ছে না। টোলের মূল্য লিখতে বললে ইজারাদারের লোকজন ধমক দেয়।’
একই হাটের ছাগল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমি প্রতি হাটে দু-একটি ছাগল কিনি। আবার কিছু লাভ হালেই বিক্রি করি। একটি ছাগল কেনাবেচা করতে ১৮০ টাকা টোল দিতে হয়। অথচ ছাগলের সরকার নির্ধারিত টোল ৬০ টাকা। প্রতিবাদ করলে ইজারাদারের লোকজন ধমক দেয়, গালিগালাজ করে।
ইজারাদার মাহমুদ হাসান বলেন, ‘এবার দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকায় এ হাট ইজারা নিয়েছি। নির্ধারিত মূল্যে টোল আদায় করলে, ইজারার অর্ধেক টাকাও উঠানো সম্ভব হবে না। অন্যান্য ইজারাদার যেভাবে টোল আদায় করছেন, আমরাও তাই করছি। বারবার আবেদন করার পরও কর্তৃপক্ষ নতুন ইজারার মূল্য নির্ধারণ করছেন না।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা শবনম বলেন, ‘ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
