নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আবু সাঈদ (৩৫) ও আবদার আলী নুলু (৪৮) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আবদার আলী নুলু (৪৮) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ জুন) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আবদার আলী লুলু পুটিমারী ইউনিয়নের মন্থনা গ্রামে মৃত খোকা মামুদের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জ বাজারে পথচারী নুলুকে একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে গুরুতর আহন হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ভর্তি করে। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব কুমার রায় বলেন, মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় জড়িত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে বুধবার রাত ১২টার দিকে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের উত্তরা ইপিজেড এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে আবু সাঈদ (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলচালক নাজমুল হুদা।
পরে ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে নীলফামারী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবু সাঈদ সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার শমসের আলীর ছেলে এবং আহত নাজমুল একই ইউনিয়নের জয়চণ্ডী কবিরাজপাড়া এলাকার আব্দুল হামিদ সরকারের ছেলে।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সময় মুষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। ট্রাকটি ওভারটেক করার সময় মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
