দীর্ঘ সময় চলে গেলো করোনাকালীন। থমকে গিয়েছিলো নাগরিক কোলাহল। পরিবর্তনেই জাগতিক জীবনের নিয়ম। পৃথিবীও বদলে গেছে অনেক তবে থেমে যায়নি। সময় চলে যায়, মানুষ চলে যায়।নতুন সময় আসে,নতুন মানুষ আসে। জাগতিক জীবনের নিয়মের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে হাবিপ্রবিতে পদচারণ ঘটেছে নবীন শিক্ষার্থীদের। তাদের পদচারণায় মুখরিত লাল ইটের সাম্রাজ্য হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাঙ্গণ।
জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা এবং ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর গত ৬ই মার্চ হাবিপ্রবিতে সশরীরে শুরু হয়েছে ২০২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বসন্তের ফুলের ঘ্রাণে যেভাবে মুখরিত হয়েছে ক্যাম্পাস তেমনি নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে হাবিপ্রবির মেইনগেইট থেকে প্রথম গেইটসহ পুরো প্রাঙ্গণ।

ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, জীবনের নতুন মোড় হাবিপ্রবি। সবার স্বপ্ন থাকে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। আমারো ছিলো কিন্তু সেই উদ্যম বেশি দিন থাকেনি। পরীক্ষার তারিখ যত পিছনে যাচ্ছিলো ততো আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলাম।কিন্তু হঠাৎ করে নতুন উদ্যমে আবর শুরু করলাম।বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার অনুভূতি টা কি সেটা তখনি জানতে পারলাম যখন হাবিপ্রবি এর মেরিট লিস্টে আমার রোল দেখেছিলাম।
যেদিন ভর্তি হতে এসেছিলাম হাবিপ্রবির লাল ইটের সাম্রাজ্যে সেদিন মনেপ্রাণে অন্যরকম এক অনুভূতি তৈরি হয়েছিলো।কেবল অপেক্ষা কবে ক্লাস হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেঞ্চে বসবো! যদিও করোনার কারণে ক্লাস দেরিতে শুরু হয়েছিলো, তবে আক্ষেপ ছিলো। অতঃপর অপেক্ষা শেষে সশরীরে ক্লাস শুরু হলো। এখন মনে হচ্ছে জীবনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ অর্জনে আমি হাবিপ্রবিকে পেয়েছি। দৃষ্টিনন্দন এই আমার ক্যাম্পাস আমাকে মুগ্ধ করে। আমাকে বার বার তার আঙিনায় ডাকে। হাবিপ্রবির হাত ধরেই আসুক আমার স্বপ্নের বাস্তবতা। ভালোবাসা আর আবেগের নাম হাবিপ্রবি।
