দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কেসি পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দখলে থাকা খাস জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বাসস্ট্যন্ড চারমাথা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এতে সাধারণ মানুষও শামিল হয়।

অবরোধের ফলে প্রায় ১ ঘণ্টা পর্যন্ত সড়কের দুই প্রান্তে চার কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। পরে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং সরকারি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যায়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কে সি পাইলট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিষ্ঠানটি ১৯০৫ সালে ‘মধ্য ইংরেজি স্কুল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় এবং ১৯৪০ সালে এটি নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে। প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই প্রায় ১৫০ শতক জায়গার মধ্যে ৬৬ শতক রেকর্ডভুক্ত জায়গার ওপর ক্যাম্পাস নির্মাণ করে। বাকি ৮৪ শতক খাস জায়গায় আমগাছের বাগান করে ভোগ করে আসছে স্কুলটি।

গত ৩০ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের লোকজন এসে স্কুলের ভোগদখলে থাকা জায়গা মাপজোখ শুরু করে এবং ৮৪ শতক জায়গার ওপর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে।
কে সি পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সদ্য বিলুপ্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউনূছ আলী মণ্ডল বলেন, শনিবার সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকা খাস জায়গায় ঘর নির্মাণ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে এ কাজে বাধা দেয় শিক্ষার্থীরা। বাধা উপেক্ষা করে কাজ করায় হঠাৎ করেই রোববার দুপুরে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আমাদের কিছু না জানিয়েই রাস্তায় নেমে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জায়গার মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান নষ্ট হবে এবং এলাকাটি মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হবে।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলম বলেন, ঘোড়াঘাট পৌর এলাকায় খাস জায়গা খুবই কম। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় পৌর এলাকার ভূমি ও গৃহহীন লোকদের জন্য কেসি পাইলট স্কুলের পাশে আমরা ১৮টি ঘর নির্মাণে খাস জায়গা নির্ধারণ করি। এর মধ্যে ছয়টি ঘরের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। খাস জায়গাটি দীর্ঘদিন থেকেই পড়েছিল। আপাতত ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
