দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা-পাটনচড়া আঞ্চলিক সড়কের একটি খালের ওপর নির্মিত সেতুর মাঝে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে মানুষ ও যান চলাচল করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ হাজার লোক এই সেতুটি ব্যবহার করেন। এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের শহরে আসার অন্যতম সড়ক এটি।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল মিয়া বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে সেতুটির মাঝের অংশে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ছোট-বড় ট্রাকসহ এই সেতুটি দিয়ে ভারি যান চলাচল করে। যে কোনো সময় এই সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে। আগের কাঁচা রাস্তাটি পাকা হলেও নতুন করে সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে না। এতে পথচারীরা অনেকটা ঝুঁকিতে রয়েছেন।
মশিউর আলম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, এই সেতু দিয়ে এলাকার ছোট ছেলেমেয়েসহ সবাই যাতায়াত করে। সেতুটি দ্রুত সংস্কার না হলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে পাটনচড়া বাজারের পূর্বপাশে সেতুটির অবস্থান। সেতুটির পূর্ব এবং পশ্চিম অংশে নতুন করে সড়ক পাকাকরণের কাজ চলমান। সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, পিকআপসহ মানুষ চলাচল করছে।
স্থানীয়দের দাবি, দুই মাস ধরে সেতুটির মাঝে ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দিনের বেলা গর্তটি সহজে দেখা গেলেও রাতে চলাচলকারী যানবাহন এতে দুর্ঘটনায় পড়ছে। দ্রুত সেতুটি সংস্কার না করলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা অফিস বলছে, সেতুটি নব্বইয়ের দশকে তৈরি। এরইমধ্যে ওই সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় কাটলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ইউনুস আলী বলেন, মাঝের অংশে ভেঙে যাওয়া সেতুটি অনেক আগে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুতে গর্তের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এবিষয়ে বিরামপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান সরদার বলেন, কাটলা-পাটনচড়া বাজারের আঞ্চলিক সড়কের ওপর সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে আমরা ওই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। বরাদ্দ আসলেই নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।
