খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া মাহমুদুল হাসান (২৩) নামের এক কনস্টেবলের মাথায় গুলিবিদ্ধ মরদেহও পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামের নানাবাড়ি থেকে লাবনীর মরদেহ উদ্ধার হয়।
আর বুধবার (২০ জুলাই) দিনগত রাত ১১টার দিকে মাহমুদুল হাসানের মরদেহ পাওয়া যায় মাগুরা পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদে।
লাবনী আক্তার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদের পাড়া ইউনিয়নের পরালিদহ গ্রামের শফিকুল আজমের মেয়ে। তিনি খুলনা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ৩০তম বিসিএসে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন।

লাবনী আক্তারের বাবা শফিকুল আজম বলেন, ১৭ জুলাই এক সপ্তাহের ছুটিতে লাবনী গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গ্রামের বাড়িতে এসে সে শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সারঙ্গ দিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে ছিল। বুধবার গভীর রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায়, দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে লাবনীর কলহ চলে আসছিল। স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। সেজন্যই হয়তো আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
