পটুয়াখালীর চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের আবেদনের প্রেক্ষিতে পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর সেতু ভবনে দক্ষিণ কোরিয়ান সামহোয়ান করপোরেশন এবং বাংলাদেশের মীর আখতার জয়েন্ট ভেনচারের মাঝে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোয়ালিয়া-কালাইয়া সড়কে পায়রা নদীর উপর এই সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের চিঠি পেয়ে তাকে তার চিঠির জবাব দেন এবং সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, পটুয়াখালীর চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে চিঠির মাধ্যমে আবেদন করেন এবং তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাঙালির আস্থার প্রতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুটির আবেদনে সাড়া দেওয়া এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্কুলে গিয়ে শীর্ষেন্দু বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠিটি লেখে। সেতু চেয়ে লেখা চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য সে মায়ের কাছে দেয়। এরপর তার মা চিঠিটি প্রধানমন্ত্রী বরাবর পোস্ট করেন ওই সময়। শীর্ষেন্দু বিশ্বাস তখন পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পরের মাসে এ শিক্ষার্থীর চিঠির জবাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জবাবে প্রধানমন্ত্রী পায়রা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। বর্তমানে শীর্ষেন্দু পটুয়াখালী সরকারি জুবলী স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র।
