গাইবান্ধার সবকটি নদীর পানি স্থির রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বুধবার (২২ জুন) বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার কমে ৩৯ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে।
বন্যা দুর্গত এলাকায় মানুষের কষ্ট দিন দিন বেড়েই চলছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেকে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পাশাপাশি ওইসব মানুষজন গো-খাদ্য সংকটে গোবাদি পশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে।

জেলা প্রশাসন সুত্র জানিয়েছে, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে ৯৬টি গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ২১ হাজার ৮৩৪ পরিবারের ৪৭ হাজার ৪৬৬ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬১ হাজার ৫১৪ জন মানুষ।
বন্যা কবলিত ওই ৪ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ইতিমধ্যে ৮০ মে. টন চাল, নগদ ৬ লাখ, শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৫ লাখ ৫০ হাজার, গো খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যে বিতরণের কাজ চলছে। অপরদিকে ১০৫টি শুকনা খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ত্রাণ ভান্ডারে জিআর ৫২৫ মে. টন চাল মজুদ রয়েছে।
