গাইবান্ধার পৌর এলাকায় কথিত কবর থেকে উঠে আসা ৯২ বছরের বৃদ্ধ বাছিরন বেওয়ার প্রকৃত পরিচয় মিলেছে। তার প্রকৃত নাম শেফালী সরদার। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি খুলনা জেলার দৌলতপুর থেকে পথ হারিয়ে গাইবান্ধায় আসেন। গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ আজ সকালে তাকে আশ্রয় দেয়া সুফিয়া বেগমের কাছে হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার (১৩ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান। তিনি
জানান, বৃদ্ধার খবর পেয়ে খুলনার দৌলতপুরের বাসিন্দা সুফিয়া বেগম আজ সকালে গাইবান্ধা থানায় আসেন। তিনি বলেন, বৃদ্ধার নাম বাছিরন বেওয়া নয়। তার প্রকৃত নাম শেফালী সরদার। তিনি প্রতিবন্ধি বলে তার নামে একটি প্রতিবন্ধি কার্ডও প্রদর্শন করেন।

বৃদ্ধাকে নিতে আসা সুফিয়া বেগম জানান, শেফালী সরদারের আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই। তার কোন ঘরবাড়িও নেই। তিনি তার বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ আশ্রিতা হিসাবে থাকতেন। প্রতিবন্ধি বলে তার নামে প্রতিবন্ধির কার্ডও দেয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি তদন্ত ওয়াহেদুল ইসলাম টেলিফোনে খুলনার দৌলতপুরে বৃদ্ধার আশ্রিতার গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে সত্যতা যাচাই বাছাই করেন।

পরিচয়ের সত্যতা মিলে গেলে আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় প্রতিবন্ধি বৃদ্ধা শেফালী সরদারকে হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার পৌর এলাকায় দাফনের ৯ মাস পর কবর থেকে এক বৃদ্ধ নারীর উঠে আসার গুজব ছড়িয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি জানাজানির পর জেলাজুড়েই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার দুপুরে (১১ মে) দুপুরে গাইবান্ধা পৌর এলাকার ডেভিট কোম্পানি পাড়ার আব্দুর রশিদ ওরফে গেদার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এরআগে, সকালে গাইবান্ধা স্টেশন এলাকা থেকে ওই নারীকে কে বা কারা ডেকে নিয়ে আব্দুর রশিদের বাসায় রেখে যায়। ঘটনা জানাজানির পর ওই নারীকে দেখতে ক্রমেই বাসায় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
