ভারত থেকে গম আমদানি বেড়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এতে করে বন্দরে কমতে শুরু করেছে গমের দাম। আমদানিকারকদের দাবি, গম আমদানির জন্য নতুন করে অনুমতি পেলে দাম আরও কমে আসবে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ মে হঠাৎ করে গম রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। অভ্যন্তরীণ জটিলতায় আগের করা এলসির গম রপ্তানি করার কথা থাকলেও সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবারো ২৯ মে থেকে এ বন্দর দিয়ে গম আমদানি। চলতি মাসের ২৭ কর্মদিবসে ভারত থেকে ৩৮৪টি ট্রাকে পুরনো এলসির ১৪ হাজার ৫৪৪ টন গম আমদানি হয়েছে।
হিলি বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত পরিমাণ গম আছে। প্রতিদিনই আগের এলসি করা গম বন্দরে প্রবেশ করছে। বন্দরে প্রতি মণ গম ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রয় হয়েছিল। মণ প্রতি কমেছে প্রায় ২০০ টাকা।
পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, বন্দরে আমদানিকৃত গম ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত ছাড় করতে পারে সেদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ সজাগ আছে।

গম আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এরই মধ্যে হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে সব গম আমদানি হচ্ছে সবই আগের এলসি করা। ভারত সরকার নতুন এলসির করা গম আমদানির অনুমতি দিলে দেশে গমের দাম আরও কমে যাবে।
গম আমদানিকারক আমিরুল ইসলাম লিটন বলেন, শুরুর দিকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানির পরিমাণ কিছুটা কম ছিল। ধীরে ধীরে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বন্দরে কমেছে গমের দাম। প্রতি কেজি গম ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ টাকা কম। গমের দাম কমায় পাইকারদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, বন্দরে আগের এলসি করা গম আমদানি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এখন আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। ভারত সরকার নতুন ভাবে গম আমদানির অনুমতি দিবে এমনটা আশা করছি।
