বাড়তি আমদানি হওয়ায় রমজানের আগেই কমেছে পেঁয়াজের দাম দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে। চার দিন আগেও যে পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন কমে ১৪-১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় পেঁয়াজ ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে কমে ২৪-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে গত ২৯ মার্চ ৬৩ ট্রাকে এক হাজার ৬৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এর মধ্যে কিছু ট্রাক আমদানিকারকগণ বন্দর থেকে খালাস করে নিলেও অবশিষ্ট পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় ছিল। তবে গত চার দিনে বন্দর দিয়ে নতুন করে কোনো পেঁয়াজ আসেনি।

খুচরা ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। তাই রমজানের আগে পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। দুদিন আগে যে পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলাম, আমদানি বাড়ায় তা কমে ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দেশীয় পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় কমেছে। বর্তমানে ২৩ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলেন, পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিটের মেয়াদ ২৯ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ ছিল। মেয়াদ শেষ হলে এরপর আর কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলসির সব পেঁয়াজ আমদানির লক্ষ্যে রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে বন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ২৯ মার্চ শেষদিনে ৬৩ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়। এতে চাহিদার তুলনায় দেশের বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। কমেছে দাম। আমাদের লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে পেঁয়াজে পচন ধরেছে। আমদানিকারকরা পচা পেঁয়াজ ৩-৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিচ্ছে।
