কুড়িগ্রাম শহরের জলিল বিড়ি কারখানায় বিড়ি শ্রমিক মাঈদুল ইসলাম বাপ্পিকে কুপিয়ে হত্যাকারী খোকন ইসলামকে গ্রেপ্তার ও দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মরদেহ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে ময়নাতদন্তের পর বাপ্পীর মরদেহ পেলে বেলা ১১টা থেকে শহরের রিভারভিউ মোড় এলাকায় ভূরুঙ্গামারী-রংপুর মহাসড়কে মরদেহ রেখে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় প্রায় ঘণ্টাখানেক সড়কে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাপ্পিকে হত্যা করে খোকন পালিয়ে যান। খুন হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত হত্যাকারীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তারা।
মাঈদুল ইসলাম বাপ্পির ও খোকন ইসলাম জলিল বিড়ি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। ৩০ মে বিকেলে কাজ করার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু-জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে খোকন মাঈদুলকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলেই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর কৌশলে পালিয়ে যান খোকন। নিহত বাপ্পি কুড়িগ্রাম মজিদা আর্দশ ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং পৌর শহরের মাটিকাটা মোড় এলাকার খাদেম আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় তার মা বিউটি বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্ত খোকনকে আসামি করে ৩০মে রাতেই কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেন। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
নিহত বাপ্পির ছোট ভাই বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার বাবা প্যারালাইজড হয়ে বিছানায়। টাকার অভাবে বোনের বিয়ের দিতে পারছি না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন বড় ভাই। তাকে খোকন নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দ্রুত হত্যাকারীকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে জলিল বিড়ি কারখানার মালিক ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদের ছেলে আবু সুফিয়ান পাভেল বলেন, ‘অপরাধী অপরাধীই সে যেই হোক। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মর্তুজা বলেন, অবরোধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে আমাদের। আশা করছি খুব দ্রুত তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
