কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। বিশেষ করে তিস্তা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ মেইনল্যান্ডে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছি। গত ১০ দিনে সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হকের চরে ১৭টি দোকান ঘর এবং ৩৪টি বসতভিটা বিলিন হয়ে গেছে। এখনও চলছে ভাঙন। লোকজন বাড়িঘর সড়িয়ে নিয়ে যে যেখানে পারছেন মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজছেন।
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানে পানি বৃদ্ধি এবং নদীর তীব্র স্রোতের কারণে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে তীব্র ভাঙনে চলতি মাসেই গত ১০/১২ দিনে জেলার উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ও হাতিয়া ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এর ফলে সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হকের চরে অবস্থিত আনন্তবাজারে ১৭টি দোকান বিলীন হয়ে গেছে। সেই সাথে ভেঙে গেছে ৩৪টি বাড়ি। আর হুমকিতে রয়েছে আরো অনেকেই।
ভাঙনকবলিতরা জায়গা না পেয়ে বিভিন্ন চরে ছড়িয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ আবাসনে, কেউ নাইয়ার চরে, সুখের চরে, কাজীর চরে, ফেচকার চরে বা গুজিমারীতে চলে যাচ্ছেন। তবে যারা জায়গা পাচ্ছেন না তারা খোলা জায়গায় হেঙ্গা দিয়ে অবস্থান নিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছি। এ ছাড়াও মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ যেকোনও সরকারি বা বেসরকারি স্থাপনা ভাঙনের মুখে পড়লে সেটি রক্ষায় কাজ করা। আমাদের পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ মজুদ আছে।
