উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বর্ষণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ বছরের বন্যায় রংপুর বিভাগের ৪ জেলার ১৭৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৯ জুন) পর্যন্ত বন্ধ হওয়া বিদ্যালয়ের তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাইবান্ধায়। এ জেলায় ১১০টি, কুড়িগ্রাম জেলায় ৫৮, নীলফামারীতে ৫টি আর রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ১টি বিদ্যালয় রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগের উপপরিচালক (প্রাথমিক শিক্ষা) মুজাহিদুল ইসলাম।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়ের অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বন্যা চরের মানুষের সঙ্গী। এগুলো নিয়ে আমাদের চলতে হয়। স্কুল বন্ধ কিন্তু বাড়িতে পড়ালেখা করতে চায় না। আমাদের উপায়ও নাই। চেষ্টা করতেছি বাড়িতেই পড়াতে।’

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বাসিন্দা সুজাউদ্দৌলা বলেন, ‘এক মাস ধরে পানি। একবার পানি শেষ না হতে আরেকবার পানি আসছে। ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার অবস্থা ভালো না। ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব না।’
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ‘এ অঞ্চলের সব নদনদীর পানি এই মুহূর্তে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার শঙ্কা আছে।’
রংপুর প্রাথমিক শিক্ষার উপপরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যার কারণে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। আমরা এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিকল্প চিন্তা করছি। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে।’
