মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘবে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক রুটিন করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৬ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনকালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলাকাভিত্তিক রুটিন করে কোন এলাকায় কত ঘণ্টা লোডশেডিং হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। যাতে সে সময়টা মানুষ প্রস্তুত থাকতে পারে, মানুষের কষ্টটা যেন আমরা লাঘব করতে পারি। আমি আশা করি দেশবাসী আমাদের সহযোগিতা করবেন।
সবাইকে বিদ্যুৎ-গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে আহ্বান করছি, প্রত্যেককে নিজ নিজ সঞ্চয় বাড়াতে হবে। খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে। যতটুকু পারা যায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বানিয়েছি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি এবং বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ আমরা সবার ঘরে দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু বর্তমানে আমাদের লোডশেডিং করতেই হবে; উৎপাদনও সীমিত রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের জানাতে চাই বিদ্যুতে মোট ভুর্তকি দিতে হচ্ছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য এবং ইন্ডাস্ট্রি চালু রাখা এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখার জন্য যে এলএনজি আমদানি করছি। সেক্ষেত্রে ভুর্তকি দিতে হচ্ছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। প্রতি কিউবেক মিটার এলএনজি কিনতে সরকারের ব্যয় ৫৯ দশমিক ৬০ টাকা। কিন্তু আমরা সেটা গ্রাহকদের কাছে আগে বিক্রি করেছি মাত্র ৯ দশমিক ৬৯ টাকায়। যেটা সম্প্রতি বাড়িয়ে ১১ টাকা করা হয়েছে। তারপরও বিশাল অংকের ভুর্তকি রয়ে গেছে সেখানে।
তিনি বলেন, এই যে বিশাল অংক আমরা ভুর্তকি দিচ্ছি, এটা আমরা কতদিন দিতে পারব? কারণ আমাদের মানুষকে খাদ্য দিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে। গৃহহীনদের ঘর দিতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের তাদের প্রতি নজর দিতে হবে।
