প্রতিবছর উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঈদযাত্রা থাকে ভোগান্তির শীর্ষে। বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই প্রান্ত, এলেঙ্গা, কড্ডার মোড়, হাটিকুমরুল প্রভৃতি স্থান ঘিরে যে যানজটের সৃষ্টি হয় তা গিয়ে ঠেকে ২০-৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঢাকা থেকে রংপুর-কুড়িগ্রাম পৌঁছাতে কখনো-সখনো লেগে যায় ২৪ ঘণ্টার বেশি। গত দুই বছর করোনার কারণে ঈদে মানুষ ঢাকা ছেড়েছে তুলনামূলক কম। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। করোনা সহনীয় পর্যায়ে থাকায় ঈদে বাড়ি যাওয়া মানুষ বাড়বে কয়েকগুণ। এর মধ্যে চলছে ঢাকা-রংপুর চার লেনের কাজ। ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে তাই দুই সেতু খুলে দেওয়াসহ এরই মধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
গেলো মার্চে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের বগুড়া অংশে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৪০ ভাগ। ঈদের আগে মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

যে কারণে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির আশংকা বাড়ছে। তবে যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
মহাসড়কের মাঝখানে চলছে ওভারব্রিজ নির্মানের কাজ। দুই পাশে শেষ হয়নি পিচ ঢালাইয়ের কাজ।। খানাখন্দ মাড়িয়ে চলাচল করছে ভারী যানবাহন।

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে মহাস্থান এলাকার মতো প্রায় একই অবস্থা মহাসড়কের বগুড়া অংশে ৪৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।
ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ করতে ১৯০ কিলোমিটার সড়কটি চার লেনে রূপ দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। বর্তমানে এই রুটে দৈনিক ১১ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে।
করোনা সংকটে দুই রোজার ঈদ স্বস্তি নিয়ে উদযাপন করতে পারেনি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তবে এখন পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। ফলে এবারের ঈদযাত্রায় স্বাভাবিকভাবেই ভয়াবহ চাপ তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফলে আসছে ঈদে দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা। তারা বলছেন, ঈদের সময়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা না হলে এই অংশে বড় ধরনের নৈরাজ্য দেখা দিতে পারে।
যানবাহন মালিকরা ঈদের সময়ে পরিস্থিতি মাথায় নিয়ে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদে এই রুটে ভোগান্তি কমাতে প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের নকলা ও চাঁদাইকোণা ব্রিজ খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া আরও প্রশস্ত করা হবে হাটিকুমরুল মোড়। যাতে যানবাহন আটকে না থাকে।
এদিকে, ঢাকা-রংপুর সড়কের প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহন জটিলতাসহ নানা কারণে সময়মতো মহাসড়কের কাজ শেষ করা যায়নি।
তিন মার্চ ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু বগুড়া অংশে মহাসড়কের ৪৭ কিলোমিটার এলাকায় কাজের অগ্রগতিও মাত্র ৪০ ভাগ।
