আফগানিস্তানে ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে অন্তত ২৫০ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে আহতদের সরিয়ে নেওয়ার এবং বাড়িঘর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হতে দেখা গেছে।
বুধবার (২২জুন) ভোরে পাকতিকা প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খোস্ত থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিলো ৬.১। মাটির ৫২ কিলোমিটার গভীরে ছিলো এর উৎপত্তি স্থল। সেখান থেকে প্রায় পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলোজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির প্রভাব আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও অনুভূত হয়েছে।

তালেবান প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রধান মোহাম্মদ নাসিম হাক্কানি জানিয়েছেন, অনুসন্ধান শেষে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
পাকিস্তানে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
আফগানিস্তানের সরকারি মুখপাত্র বিলাল করিমি টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, গত রাতে পাকতিকা প্রদেশের চারটি জেলায় প্রবল ভূমিকম্প আঘাত হনেছে। এই ভূমিকম্পে শত শত মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের পর আরও বিপর্যয় এড়াতে আমরা সকল সাহায্যকারী সংস্থাকে অবিলম্বে দুর্গত এলাকায় কর্মী পাঠানোর অনুরোধ করছি।’
এর আগে গত শুক্রবার ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি ও মুলতান। এছাড়া ফয়সালাবাদ, অ্যাবোটাবাদ, সোয়াট, বুনার, কোহাত এবং মালাকান্দেও ওই কম্পন অনুভূত হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
