রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরশহরের ভাড়ারদহ বিল পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছে। পাখির খেলা আর শত প্রজাতির গাছের মেলা যেন বসেছে ভাড়ারদহ বিলে। তাইতো এলাকার মানুষের কাছে তা দর্শণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, ভাড়ারদহ বিলের আয়তন ১১ দশমিক ৫৯ একর। মূলতঃ গড়ডাঙ্গী নদী ও চিকলী নদীর মিলনস্থলে ভাড়ারদহ বিলের জন্ম হলেও কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে গিয়ে সমতল ভূমিতে পরিণত হয়। ফলে এলাকার অবৈধ দখলদাররা তা নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে ভোগদখল করতে থাকে। এ অবস্থায় ভাড়ারদহ বিল উদ্ধারের পাশাপাশি তা খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় একটি সংস্থা ২০২১ সালে ৪৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে এটির খনন কাজ শেষ করে। এরপর বিলের পাড়ে রোপণ করা হয় ১০১ প্রজাতির গাছের চারা। এছাড়া ভাড়ারদহ বিলে পর্যাপ্ত পানি থাকায় সেখানে অবস্থান নিয়েছে হাজারো অতিথি পাখি। এ কারণে পাখির কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে ভাড়ারদহ বিল এলাকা। আর ওই পাখি দেখতে প্রতিনিয়ত জড়ো হচ্ছেন নানা বয়সের মানুষ।
উপজেলা কাল্বের ব্যবস্থাক মোঃ আব্দুল আউয়াল বলেন, অফিসের কাছেই এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কে-না উপভোগ করতে চায়। তাইতো সময় পেলেই ছুটে আসি বিলের পাড়ে।
মোবাইল ব্যবসায়ী মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, আমি সকাল-বিকেল দু’বেলা এখানে আসার চেষ্টা করি। কারণ পাখিদের জলকেলি আর উড়ে চলার দৃশ্য খুবই ভালো লাগে।

পাহারাদার আতিয়ার রহমান ও জোবাইদুল ইসলাম বলেন, মাঝখানে স্কুল বন্ধ থাকায় প্রতিদিনই ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা অভিভাবকদের সাথে আসত। এখন শুধুমাত্র ছুটির দিনের দিনে তাদের দেখা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, প্রথম দিকে দর্শণার্থীরা পাখিগুলোকে খুব বিরক্ত করত। এখন অবশ্য কেউ বিরক্ত করে না। তবে রাতের অন্ধকারে পাখি শিকারীরা নানা সময়ে জাল ফেলে পাখি ধরার চেষ্টা করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউওনো) আবু সাঈদ বলেন, সম্প্রতি বিলটি খনন করা হয়েছে। অতিথি পাখিরাও আমাদের এই বিলে আসছে। বিলটির সামনে পাটোয়াকামড়ি বিল নামে আরেকটি বিল রয়েছে। সেটিও খনন করা হবে। দুই বিল মিলিয়ে একটি নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
